সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান শপথ নিয়েছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১২টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনে মোকাব্বির খানকে শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদ সচিব জাফর আহমদ খান।
মোকাব্বির খানের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ছয়জন ছাড়া বাদ বাকি সবাই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন।
এর আগে সোমবার (১ এপ্রিল) মোকাব্বির খান শপথ গ্রহণের ইচ্ছা জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেন।
শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আবদুল লতিফ, আবদুস সোবহান গোলাপ এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদী উপস্থিত ছিলেন। শপথ গ্রহণ শেষে মোকাব্বির খান রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে উপলক্ষে বিএনপি-গণফোরামসহ আরও কয়েকটি দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেয়। ওই নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ছয়টি ও গণফোরাম দুইটি আসনে জয়ী হয়।
পরে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত ৭ মার্চ শপথ নেন। পরে তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে সময় মোকাব্বিরও শপথ নিতে চেয়েছিলেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি তখন আর শপথ নেননি।
ফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘ শপথ না নেওয়ার বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে। তিনি নিজ দায়িত্বে শপথ নিচ্ছেন।’
তবে এবার দলের সঙ্গে কথা বলেই শপথ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মোকাব্বির খান।
সোমবার ( ১ এপ্রিল) বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি জানান, ‘ড. কামাল হোসেনের সিদ্ধান্ত মানেই গণফোরামের সিদ্ধান্ত। আমি দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে ২ বা ৩ এপ্রিল আমার শপথের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছি।’