গাড়ি থেকে ফেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পায়েলকে হত্যার ঘটনায় তিন আসামির বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আবদুল হালিম এ আদেশ দেন। একই আদেশে আগামী ৮ এপ্রিল মামলার বাদীর প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন– হানিফ পরিবহনের গাড়িচালক জামাল হোসেন, সুপারভাইজার জনি ও হেলপার ফয়সাল। অভিযোগ উঠেছে, গত ১৩ মার্চ তারা ভুয়া জিম্মাদার দেখিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন।
এর আগে, এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানা পুলিশ তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনটি ১৬ জানুয়ারি পায় পায়েলের পরিবার। ১৩ মার্চ বিচার কাজ শুরু হয়।
মামলা প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান বলেন, ‘তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এখন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। ৮ এপ্রিল মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার্দীকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন ইস্যু করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েল নিখোঁজ হন। একদিন পর ২২ জুলাই মুন্সীগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানা পুলিশ। এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালতে তাদের জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানায়, গজারিয়া এলাকায় গাড়ি যানজটে পড়ায় প্রসাব করার কথা বলে বাস থেকে নেমেছিলেন পায়েল। বাস চলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে এসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে সংজ্ঞা হারান। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার বদলে মুখ থেতলে দিয়ে দায় এড়াতে ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে বাস নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন আসামিরা।