জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের সাজা ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। এই মামলায় তার বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন আদালত।
একইসঙ্গে এই মামলার যাবতীয় নথি তলব করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় খালেদার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেননি আদালত। এসময় আদালত বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। তাই এ মামলায় এ মুহূর্তে জামিন দিলেও তিনি মুক্তি পাবেন না।
খালেদা জিয়ার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুছ জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
এসময় দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করা হয়।
গত বছর ২৯ অক্টোবর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এই মামলার তিন আসামিকেও একই সাজা দেন আদালত।