দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই শক্তি বাড়তে শুরু করেছে ফণীর। ১ ও ২ মে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার গতিতে ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে থাকা এ ঘূর্ণিঝড় আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে যাচ্ছে।
ফণী যত এগিয়ে আসবে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িষ্যার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার থেকেই কেরালার কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ফণী।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণি এখনও অনেক দূরে অবস্থান করায় তার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার পর্যন্ত এ ঝড় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে তারপর উত্তর দিকে বাঁক নেবে। উত্তাপ আর জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে এরপর এগোতে শুরু করবে উত্তর-পূর্ব দিকে। আগামী ৩ মে থেকে কমে আসতে পারে এ ঝড়ের শক্তি।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শনিবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম দেওয়া হয় ফণি। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে এ নামটি প্রস্তাব করে বাংলাদেশ, যার অর্থ সাপ।