ঢাকার মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির একটি পরিবারের তিনজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সেখানকার একটি ভবন ‘অবরুদ্ধ’ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ হাজারের বেশি বাসিন্দার ঢাকার এই আবাসিকের অপর বাসিন্দাদের ধারণা, গেল সপ্তাহে মারা যাওয়া ওই পরিবারে প্রবীণ সদস্যটিও এই ‘রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন’।
ভাইরাস যেন আরও ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য রোববার দুপুরে জাপান গার্ডেন সিটির ২১টি ভবনের মধ্যে ওই ভবনটি অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে আদাবর থানার ওসি কাজী শাহীদুজ্জামান জানিয়েছেন।
জাপান গার্ডেন সিটি ফ্ল্যাট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুফদী আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গার্ডেন সিটির ১৫ নম্বর ভবনের বাসিন্দা আকবর আলী (৬৬) গত বুধবার মারা যান।
“তথ্য গোপন করে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে পরিবারের লোকজন তাকে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের কবরস্থানে দাফন করে। এর পরদিনই ৪৫ বছর বয়সী তার মেয়ে, গৃহকর্মী ও গাড়িচালকের দেহে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। তারা আইইডিসিআরে যোগাযোগ করে পরীক্ষা করান। শনিবার রাতে ফলাফলে তিনজনেরই পজিটিভ আসে।”
আইইডিসিআরের প্রতিনিধিরা রোববার ওই ফ্ল্যাট থেকে আকবরের স্ত্রী এবং আরেক গৃহপরিচারিকার নমুনা নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
জাপান গার্ডেন সিটিতে মোট ২৬টি ভবনের মধ্যে ২১টি ভবনে মানুষ বসবাস করছে। এসব ভবনে ১ হাজার ৬২৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এসব ফ্ল্যাটে ১০ হাজারের কিছু বেশি মানুষ বসবাস করেন। সেখানে এই প্রথম করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া গেল।
আইইডিসিআরে তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল নাগাদ মোহাম্মদপুরে ৩৪ জন এবং আদাবর থানায় পাঁচজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে