মুন্সীগঞ্জবাসীর জন্য জরুরী অক্সিজেন সহায়তায় “নাগরিক নিঃশ্বাস”।

0
75

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯–এর রোগীদের অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে শ্বাসকষ্ট অন্যতম। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্টের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়, তাদের শ্বাসযন্ত্র সচল রাখতে বাইরে থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। করোনার ২য় ঢেউয়ে দক্ষিন আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্য সহ ভাইরাসের অন্যান্য কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এবারের আক্রান্ত রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে অক্সিজেন সহায়তার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো মুন্সীগঞ্জে জেলায়ও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সহায়তার জন্য নাগরিক সমন্বয় পরিষদ ও একই বৃত্তে পঁচিশের যৌথ উদ্যোগে এবং জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের সহযোগিতায় “নাগরিক নিঃশ্বাস” শিরোনামে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদানের কর্মসূচীর হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ১৮ ই এপ্রিল রবিবার মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার বিষয়ক একটি প্রশিক্ষন কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার প্রধান সমন্বয়ক ডা জুবায়ের ইসলাম “নাগরিক নিঃশ্বাস” কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকদের এই প্রশিক্ষন প্রদান করেন। এই প্রশিক্ষন কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসিমা আক্তার, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক হামিদা খাতুন, জেলা ক্রিড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক স্বপন,নাট্যকার শিশির রহমান, পৌর কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার, একই বৃত্তে পঁচিশের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা রানু, নাগরিক সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব পৌর কাউন্সিলর আবু সাত্তার মুন্সী,নাট্যকার হুমায়ুন ফরিদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন নাগরিক সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট সুজন হায়দার জনি। বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৬০ জন সেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করেন।

কোন কোন এলাকাজুড়ে তাদের এই এই কর্মসূচির কার্যক্রম চালু থাকবে তা জানতে চানতে চাইলে এই কর্মসূচির অন্যতম সংগঠক নাগরিক সমন্বয় পরিষদ মুন্সীগঞ্জ এর আহবায়ক এডভোকেট সুজন হায়দার জনি বলেন, “প্রাথমিক অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার আশেপাশের এলাকার গ্রাম-পাড়া, মহল্লায় আমাদের এই সেবা প্রদান করা হবে। ধীরে ধীরে আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরবর্তীতে এই সেবার পরিধি বৃদ্ধি করা হবে। এই ইভেন্টে আমাদের গ্রাম,পাড়া,মহল্লা ভিত্তিক প্রচুর সেচ্ছাসেবক প্রয়োজন হবে এবং পর্যায়ক্রমে তাদেরও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে