আজ বিশ্ব অটিজম দিবস, এই রোগ সম্পর্কে যা জানা জরুরি

0
9

সারা পৃথিবীতে বেড়ে চলেছে অটিজম। কিন্তু অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) নিয়ে জনমানসে এখনও সচেতনতা তলানিতেই। এ রোগ যে এখনও অবহেলিত, আজ, মঙ্গলবার বিশ্ব অটিজম দিবসের প্রাক্কালে সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরাও। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সামাজিক আচরণ যে ভাবে বদলানো উচিত, স্নায়বিক কারণে এ অসুখে তা হয় না। অথচ সচেতনতার অভাবে এই নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার চিনতেই পারেন না অভিভাবকরা। তাই এ রোগ সম্পর্কে আরও বেশি করে প্রচার দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবং জরুরি, একেবারে শৈশবেই এ রোগকে চিহ্নিত করা

অটিজম কী?

একটি জটিল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার 

এ রোগ কি বিরল?

একেবারেই নয়। এ দেশে ৫৮ জন শিশুর মধ্যে একজন অটিজম নিয়েই জন্মায়। মেয়েদের চেয়ে চার গুণ বেশি এ রোগের শিকার ছেলেরা 

কী হয় এতে?

কথাবার্তা বলা, সামাজিক মেলামেশা ও স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে (বুদ্ধি ব্যাহত হয় না) তৈরি হয় অন্তরায়। অথচ বৌদ্ধিক ও অন্যান্য গুণাগুণের বিচারে কোনও ফারাক থাকে না আর পাঁচ জনের সঙ্গে 

উপসর্গ

অতি-ঘনিষ্ঠ ছাড়া মেলামেশা নয় 

বয়সের নিরিখে অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখা 

চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না-পারা 

একই কথা বা কাজ বার বার আওড়ে চলা বা করা 

কারও শরীরী ভাষা, ইশারা, ইঙ্গিত, মুখের ভঙ্গির মানে না-বোঝা 

একঘেয়ে রুটিনে আসক্তি। রগচটা ব্যবহার। রোজনামচা বা পরিবেশের সামান্য পরিবর্তনেই রাগ 

বহির্জগৎ সম্পর্কে উদাসীনতা, যন্ত্রণা ও উত্তাপকে গ্রাহ্য না-করা, নির্দিষ্ট শব্দ ও গন্ধ সম্পর্কে অতিসংবেদনশীলতাও এই রোগের উপসর্গ। 

অটিজম থেকে কি মুক্তি নেই?

অবশ্যই আছে। অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, মোৎজার্ট, বিল গেটসের মতো মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয় যাঁরা অটিজমের বাধা টপকেও সফল। তবে প্রয়োজন চিকিৎসার। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে