ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে প্রাণঘাতী অসুখ ইবোলার মহামারি দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, এটি এখন একটি “আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জনস্বাস্থ্য সংকট।”
বুধবার জেনেভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)র প্রধান টেড্রোস আধানম গিব্রাইয়াসুস একে ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জনস্বাস্থ্য সংকট’ উল্লেখ করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, জানিয়েছে বিবিসি।তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববাসীর নজর দেওয়ার সময় হয়েছে। এ ঘোষণার ফলে সম্পদশালী দাতা দেশগুলো আরও অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সচেতন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক ফেডারেশন রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট স্বাগত জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার শহর ডিআর কঙ্গোর গোমায় প্রথমবারের মতো একজনের শরীরে ইবোলার ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির আড়াই হাজারেরও বেশি লোক ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে এক হাজার ৬শ’ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে।
ডিআর কঙ্গোতে সম্প্রতি ইবোলা ভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেটি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। এর শুরু ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে। দেশটির দুটি উত্তর কিভু ও ইতুরি প্রদেশে প্রথম এটি দেখা দেয়। এ পর্যন্ত আড়াই হাজার ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনভাগের দুইভাগই মারা গেছেন। প্রতিদিন ১২ জন করে নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
সংস্থাটি জানায়, রোগটির প্রতিষেধক রয়েছে এবং সেটি ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর। দেড় লাখের বেশি মানুষকে সেই প্রতিষেধক দেওয়াও হয়েছে। তবে কঙ্গোর সবাইকে তা দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র যারা কোন ইবোলা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন অথবা তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদেরকে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।