সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেটা আছে, সেটি গুরুতর নয়। এস্ট্রাজেনিকার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। এ জন্য আমি মনে করি, জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে।’ করোনার ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে জনসাধারণকে সবধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যেকোনো ওষুধের কিংবা ভ্যাকসিনের সাইড ইফেক্ট থাকতে পারে। আমরা একটি ওষুধ গ্রহণ করলেও সেটার গায়ে লেখা থাকে, কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। আবার নাও হতে পারে। বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। এস্ট্রাজেনিকার ভ্যাকসিনেও হয়েছে। আমরা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে জনসাধারণকে সবধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেবো।’তিনি বলেন, ‘এ যাবৎ আমরা বাংলাদেশে যেসব ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি সেখানেও কিন্তু সাইড ইফেক্ট আছে। কাজেই আমি মনে করি, এটাতে বড় কোনও সমস্যা হবে না।’
এ সময় জাহিদ মালিক এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা ৪ ডলার করে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা কিনছি। আর পরিবহনসহ সংরক্ষণে যে এক ডলার খরচ, সেটাও দেওয়া হচ্ছে। আমাদের চুক্তি আছে যে, ভারত সরকার কম দামে কিনলে আমাদের কম দামে দেবে। বেশি দাম হলে আমরা সেই দামে নেবো না, আমরা কম দামেই নেবো। আমাদের কাছে যদি ২৫-২৬ জানুয়ারি ভ্যাকসিন চলে আসে, তারপরও আমাদের প্রিপারেশনের জন্য টাইম দরকার। আশা করি, সপ্তাহখানেকের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করতে পারবো।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গ্লোব বায়োটেককে আমরা সাধুবাদ জানাই। তারা একটি ভ্যাকসিন ডেভেলপ করেছে। একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, তাদের সেগুলো অনুসরণ করে আসতে হবে। আমরা দেখবো, আমাদের দেশীয় প্রোডাক্ট যদি মানসম্পন্ন হয়, আমরা সবসময় সেটি গ্রহণ করে থাকি। আমাদের কাছে যখন যেটা সাহায্য চাইবে আমরা দেবো।’ভ্যাকসিনের মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা বেসরকারি পর্যায়ে ভ্যাকসিন আনার অনুমতি দেবো। একটি ভ্যাকসিনের দাম যেটা হবে, সেটি নির্ধারণ করার জন্য সরকারি প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা দামও নির্ধারণ করে দেবো। ভ্যাকসিনের যে নীতিমালা সেটিও করা হয়েছে , নীতিমালা ফাইনাল করে দেওয়া হবে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সব ভ্যাকসিনের দাম এক হবে না। দেশ ভিন্নতায় ভ্যাকসিনের দাম ভিন্ন ভিন্ন হবে। কাজেই সেদিক লক্ষ্য রেখে এই দাম নির্ধারণ করে দেবো। যেভাবে আমরা টেস্টের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি, সেভাবে ভ্যাকসিনের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান সংগঠনের সদস্যদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির আহ্বান জানান। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক সাংবাদিক করোনার টিকা পাবেন।’