জেল নেইল

0
33

মাসে একবার ম্যানিকিওর আর বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির নেল প্রোডাক্টের কমবেশি খোঁজখবর— বেশির ভাগ মানুষের নখচর্চা ওই পর্যন্তই। নেইল পলিশও বদলান অনেকে, নিয়ম করে। কারণ, সুন্দর নখের সৌন্দর্য হাতে যোগ করে বাড়তি আবেদন। যাদের নখ অত আকর্ষক নয়, তাদের অনেককেই ঝুঁকতে দেখা যায় অ্যাক্রিলিক নেইলের মতো আর্টিফিশিয়াল অপশনগুলোতে। বৈচিত্র্যই বলুন আর অলটারনেটিভ—একসময় এর থেকে বেশি আর কিছু ছিল না। কিন্তু যুগ বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখন বিভিন্ন টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে নখকে নতুন রূপ দেওয়ার জন্য। নানা রকম নেইল এনহ্যান্সমেন্ট ট্রিটমেন্টগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় জেল নেইল। আগে দেশের বাজারে এটি সহজলভ্য ছিল না। কিন্তু সেই অবস্থার বদল ঘটেছে। আন্তর্জাতিক মানের জেল নেইল এখন করিয়ে নেওয়া যাবে দেশে বসেই।

বিশেষ ধরনের আলট্রা ভায়োলেট জেল (যেখানে আগে থেকেই পলিমার এবং মনোমার মিক্স করা থাকে) দিয়ে নখে জেল ট্রিটমেন্ট করা হয়। এই ট্রিটমেন্টের পর নখ একেবারেই আর্টিফিশিয়াল দেখায় না। বরং নখে হেলদি শাইন আসে। এই জেল নেইল কালারগুলো নখে দিয়ে তার উপরে আলট্রাভায়োলেট লাইট ফেলে জেল সেট করা হয়। যাদের স্পিøট অথবা ব্রোকেন নেল আছে তারাও অনায়াসে এই ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। জেলিং করানো নখ নন-লিফটিং, ফ্লেক্সিবল এবং নন-ইয়েলোয়িং হয়। যা নজরকাড়া। সাধারণত ঘণ্টাখানেক সময় হাতে থাকলেই সেরে নেওয়া যাবে জেল নেইল।
শুরুটা হয় নখ পরিষ্কারের মাধ্যমে। অ্যান্টিসেপটিক, পানি আর তুলা দিয়ে সরানো হয় নখে জমে থাকা ময়লা আর জীবাণু। তারপর করা হয় নেইল কাটিং ও ফাইলিং। ওভাল, স্কয়ার বা সফট স্কয়ার—পছন্দ অনুসারে কেটে নেওয়া যেতে পারে নখ। আঙুলের শেপ বুঝে কাটলে সুন্দর দেখাবে। স্কয়ার শেপের নখ, যার কোণের অংশগুলো রাউন্ড শেপের, সেই ধরনের নখ সহজে ভেঙে যায় না। বড় ও মোটা আঙুলে স্কয়ার শেপের নখ খুব একটা ভালো দেখায় না। ফাইল করার সময় নখের কোণের অংশ থেকে ধীরে ধীরে মাঝের অংশে ফাইল করা হয়। এরপরের কাজ কিউটিকল কাটিং এবং নেইল পুশিং। এ ধাপে মূলত কিউটিকল সফটনার বা জেল দিয়ে অবাঞ্ছিত কিউটিকল সরানো হয়। নখ আরও পরিষ্কার দেখানোর জন্য। তারপর নেইল বাফিংয়ের পালা। নখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য। তারপর আবার আরেক দফা নখ পরিষ্কার করে ধরা হয় জেলিংয়ের কাজ। প্রথমেই দেওয়া হয় জেলের বেজ কোট। সিঙ্গেল লেয়ারে। এটা ভালোভাবে দিয়ে পুরে দেওয়া হয় ড্রায়িং ল্যাম্পের ভেতর। শুকিয়ে গেলে দেওয়া হয় নেইল কালার। তারপর আবার ড্রায়িং ল্যাম্পে শুকানোর পালা। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে আরেক কোট নেইলপলিশ দেওয়া হয় নখে। ড্রায়িং ল্যাম্পে ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে সবশেষে দেওয়া হয় টপ কোট। তবে এখানেই শেষ নয় প্রক্রিয়া। টপ কোট দেওয়ার পর শেষবারের মতো ড্রায়িং ল্যাম্পে নখ পুরে একদম সিল করে দেওয়া হয় জেল নেইল।
হাত কিংবা পায়ে—পছন্দমতো যেকোনো জায়গার নখে করে নেওয়া যাবে এটা। দুটি ভিন্ন ধরনের অপশন রয়েছে ক্লায়েন্টদের জন্য। একটা নরমাল জেল নেইল, যা করতে খরচ পড়বে ১২০০ টাকা। আর ম্যাগনেট ডিজাইনের জেল নেইলের জন্য গুনতে হবে ১৫০০ টাকা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে